1. bangladak24.news@gmail.com : বাংলা ডাক : সাপ্তাহিক বাংলা ডাক
  2. info@www.bangladak.com : বাংলা ডাক :
বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি :
সাংবাদিকতা যাঁদের স্বপ্ন, তাঁদের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ! "বাংলা ডাক" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আপনার জীবনবৃত্তান্ত,  শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, নাগরিকত্বের সনদ, ২ কপি সদ্য তোলা রঙিণ ছবি এবং তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ আজই পাঠিয়ে দিন! যোগাযোগ...ই-মেইল: bangladak.news@gmail.com  

ভালোবাসার টানে ২৪ বছর পর আবারও বরগুনায় ডেনমার্কের রোমানা

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫

ভালোবাসার টানে ডেনমার্ক থেকে বরগুনায় প্রাক্তন স্বামীর কাছে ফিরেছেন রোমানা মারিয়া বসি নামের এক ড্যানিশ নারী। নানা বাধা পেরিয়ে দীর্ঘ ২৪ বছর পর ভালোবাসার প্রিয় মানুষ মাহবুবুল আলম মান্নুর কাছে ফিরে তিনি প্রমাণ করেছেন প্রকৃত ভালোবাসা কখনোই হারিয়ে যায় না। আর এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। বরগুনা পৌরসভার সদর থানা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মান্নু দৈনিক আমাদের সময়ের বরগুনা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ডেনমার্ক থেকে ঢাকায় এসে বিকেল ৫টার দিকে মহবুবুল আলম মান্নুর সঙ্গে বাসযোগে বরগুনায় আসেন রোমানা মারিয়া বসি। পরে সন্ধ্যায় মান্নুর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুনরায় দ্বিতীয়বার তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে প্রবাসে থাকাকালীন ডেনমার্কের বাসিন্দা রোমানা মারিয়া বসিকে ভালোবেসে বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বরগুনার মাহবুবুল আলম মান্নু। এর তিন বছর পর ২০০০ সালের দিকে মারিয়া আবারও ডেনমার্কে চলে যায়। তবে কয়েক মাস পর মান্নুরও ডেনমার্কে যাওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে তিনি আর যেতে পারেননি। এতে স্বামী-স্ত্রী দুজন দুই দেশে থাকলেও ২০০৩ সাল পর্যন্ত তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত থাকে। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে রোমানা অন্যত্র বিয়ে করলে মান্নুর সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ হয় যায়। অপরদিকে মান্নুকেও পরিবারের সদস্যরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে বললে তিনি রোমানার ভালোবাসা ত্যাগ করতে পারেননি। প্রিয়তমার প্রতীক্ষায় প্রায় ২৪ বছর কাটিয়েছেন নিঃসঙ্গতায়। সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে রোমানা আবারও খুঁজে পায় মান্নুকে। দুজনের মধ্যে আলাপচারিতায় পুনরায় বিয়ে করার সম্মতিতে বাংলাদেশে চলে আসেন তিনি। আর এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে রোমানাকে দেখতে মান্নুর বাড়িতে ভিড় করছেন মান্নুর বিভিন্ন সহকর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

মাহবুবুল আলম মান্নুর বড় বোন পিয়ারা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগে রোমানা যখন মান্নুর সঙ্গে ছিল আমাদের সঙ্গে তার ভালোই সম্পর্ক ছিল। ডেনমার্ক চলে যাওয়ার পরও আমাদের সঙ্গে কয়েক বছর পর্যন্ত যোগাযোগ ছিল। দীর্ঘ বছর পর মান্নু যখন আমাদের জানায় রোমানাকে সে ফিরে পেয়েছে এবং বাংলাদেশে আসতে চায়, আমরা তাকে আসার জন্য বলি। রোমানা ফিরে আসায় আমারা আনন্দিত।

রেহানা বেগম নামে মান্নুর এক বোনের মেয়ে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা মামাকে বহুবার বিয়ের কথা বলেছি। কিন্তু সে কখনোই রাজি হয়নি। পরে আমরা বুঝতে পেরেছি তার ভালোবাসার মানুষকে তিনি ভুলতে পারেননি। পরে আমরা আর তাকে বিয়ের জন্য না বললেও স্ত্রী রোমানাকে ফিরে পাওয়ার জন্য চেষ্টা করতে বলেছি। এ ছাড়া আমরাও আল্লাহর কাছে চেয়েছি যাতে আবারও তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়।

এ বিষয়ে মাহবুবুল আলম মান্নু ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিয়ের পর ২০০০ সালে এক প্রকার জোর করেই রোমানাকে ডেনমার্কে পাঠিয়ে দিই। পরে আমার যাওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে আর যাওয়া হয়নি। এ ছাড়া আমি কখন যেতে পারব তা বলতে না পেরে ওর বাবা-মায়ের কথা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে বলি। পরে তিন বছর পর্যন্ত আমার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে রোমানা। পরবর্তীতে ৭ থেকে ৮ বছর আগে ওই স্বামীর সঙ্গে মনের মিল না হওয়ায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে পুনরায় আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা শুরু করে রোমানা। পরে ফেসবুকে আমার আইডি খুঁজে পেলে গত জানুয়ারি মাস থেকে আবারও রোমানার সঙ্গে কথোপকথন শুরু হয়। একপর্যায়ে আমাকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে সম্মতি জানিয়ে রোমানা বাংলাদেশে চলে এসেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত 𝐛𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐝𝐚𝐤.𝐜𝐨𝐦-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
Theme Customized BY LatestNews