1. bangladak24.news@gmail.com : বাংলা ডাক : সাপ্তাহিক বাংলা ডাক
  2. info@www.bangladak.com : বাংলা ডাক :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি :
সাংবাদিকতা যাঁদের স্বপ্ন, তাঁদের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ! "বাংলা ডাক" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আপনার জীবনবৃত্তান্ত,  শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, নাগরিকত্বের সনদ, ২ কপি সদ্য তোলা রঙিণ ছবি এবং তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ আজই পাঠিয়ে দিন! যোগাযোগ...ই-মেইল: bangladak.news@gmail.com  

বার্নাব্যু বাধা টপকে ১৬ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিতে আর্সেনাল

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার জন্য সবকিছুই করা হয়েছিল সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে। এই মাঠেই রিয়াল মাদ্রিদ কতশত বার দুঃসময় থেকে নিজেদের ফিরিয়ে এনেছে। সেটা নাহয় আরও একটাবার করতে হতো। আর সেজন্য যা দরকার, তার সবটাই করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ এবং তাদের সমর্থকরা। কিন্তু, সবদিন তো আর একই হয় না। ছাদ বন্ধ করা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এদিন সব বন্দোবস্ত থাকলেও সেটাকে কাজে লাগাতে পারেননি রিয়ালেরই ১১ জন তারকা। 

উল্টো আর্সেনালের কাছে ২-১ গোলের হার হজম করতে হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টদের। তাতে ২০২০ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মিস করতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদকে। অন্যদিকে ১৬ বছর পর ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের সেমিতে খেলবে আর্সেনাল। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে অপেক্ষা করছে পিএসজি।

আগের লেগে ৩-০ গোলে হারের পর সেমিতে উঠতে হলে রিয়ালকে এদিন শুরু থেকেই করতে হতো দারুণ কিছু। সেটা রিয়াল পেতে পারতো একদম শুরুতেই। ভিনিসিয়ুসের ক্রস থেকে কিলিয়ান এমবাপে গোল করেই ফেলেছিলেন। কিন্তু সেটা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। প্রথমার্ধে এরপর অবশ্য রিয়ালকে আর সেভাবে সুযোগই দেয়নি আর্সেনাল। রিয়ালের শক্ত আক্রমণগুলো বারবার ফিরে আসছিল গানার্সদের রক্ষণ থেকে।

পুরো প্রথমার্ধটাই ছিল নাটকে ভরা। দুইবার পেনাল্টি দেয়া হয়েছে। একটায় গোল পায়নি আর্সেনাল। সেটা ম্যাচের ১৩ মিনিটের ঘটনা। মিকেল মেরিনোকে ফাউল করে গানার্সদের পেনাল্টি দিয়েছিলেন রাউল অ্যাসেন্সিও। সেখান থেকে গোল পায়নি তারা। বুকায়ো সাকার পানেনকা সহজেই ফেরান থিবো কর্তোয়া। এটাই হয়ত জ্বালানি ছিল রিয়ালের জন্য।

পরের পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল। এবারে ডেক্লান রাইস নিজেদের বক্সে এমবাপ্পের জার্সি টেনে ধরলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এমনকি রাইসকে হলুদ কার্ডও দেখান। এ নিয়ে আর্সেনাল খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানালে ভিএআর যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে অপেক্ষা করছিল ভিন্ন কিছু। রাইস এমবাপের জার্সি টেনে ধরার আগে অফসাইডে ছিলেন রদ্রিগো। ফলে পেনাল্টি এবং রাইসের কার্ড দুটোই বাতিল হয়।

প্রথমার্ধের নাটকীয়তার পরেও ম্যাচে গোল আসেনি। অথচ রিয়ালের তখনো দরকার ছিল ৪ গোল। ৬১ মিনিটে তাই একইসঙ্গে তিন বদলিকে মাঠে নামান দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু তাদের লাভের বদলে গোলই হজম করতে হলো তাদের। বুকায়ো সাকার গোল আর্সেনালকে এনে দেয় দুই লেগ মিলিয়ে ৪-০ গোলের লিড।

রিয়ালের দরকার ছিল তাৎক্ষণিক উত্তর। সেটাই হলো দুই মিনিটের মাঝে। দাভিদ রায়ার পাস রিসিভ করতে উইলিয়াম সালিবা খানিক বেগ পেয়েছিলেন। সেটার সুযোগ লাগিয়ে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বল কেড়ে নেন। এরপর ম্যাচে আগের সমতা। আর অ্যাগ্রিগেট তখন ৪-১। রিয়াল মাদ্রিদের নিভতে থাকা আশার প্রদীপে খানিক অক্সিজেন দিলো গোলটা। এরপরেও অবশ্য গোল আর হয়নি তাদের।

সময় যতই পার হচ্ছিল, রিয়াল ততই জোর দিচ্ছিল আক্রমণের দিকে। কিন্তু আর্সেনালের রক্ষণ যেন চীনের মহাপ্রাচীরের সমার্থক শব্দ ছিল এদিন। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে রিয়ালের বিপক্ষে প্রতিআক্রমণে যায় আর্সেনাল। অতিরিক্ত আক্রমণের সুবাদে পুরো রক্ষণই ছিল ফাঁকা। কর্তোয়াকে একা পেয়ে রিয়ালের জালে দুই লেগ মিলিয়ে ৫ম গোল পুরে দেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত 𝐛𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐝𝐚𝐤.𝐜𝐨𝐦-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
Theme Customized BY LatestNews