1. bangladak24.news@gmail.com : বাংলা ডাক : সাপ্তাহিক বাংলা ডাক
  2. info@www.bangladak.com : বাংলা ডাক :
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৪:৪০ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি :
সাংবাদিকতা যাঁদের স্বপ্ন, তাঁদের জন্য দুর্দান্ত সুযোগ! "বাংলা ডাক" সংবাদপত্রে জরুরী ভিত্তিতে সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আপনার জীবনবৃত্তান্ত,  শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, নাগরিকত্বের সনদ, ২ কপি সদ্য তোলা রঙিণ ছবি এবং তথ্য প্রমাণসহ সংবাদ আজই পাঠিয়ে দিন! যোগাযোগ...ই-মেইল: bangladak.news@gmail.com  

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসীম অবদানের জন্য তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়।

১৮৩৮ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জুন বর্তমান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা নৈহাটি শহরের নিকটস্থ কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

তার আদিনিবাস ছিল হুগলি জেলার দেশমুখো গ্রামে। বঙ্কিমচন্দ্রের পূর্বপুরুষ রামজীবন চট্টোপাধ্যায় কাঁঠালপাড়ার রঘুদেব ঘোষালের কন্যাকে বিয়ে করেন। রামজীবনের ছেলে তথা বঙ্কিমচন্দ্রের প্রপিতামহ রামহরি চট্টোপাধ্যায় মাতামহের সম্পত্তি পেয়ে কাঁঠালপাড়ায় আসেন এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন। গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে, সাহিত্য সমালোচক হিসেবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান ছিলেন।

তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তাকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়, এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য সম্রাট হিসেবে পরিচিত।

রামহরির পৌত্র যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের তৃতীয় ছেলে বঙ্কিমচন্দ্র, মাতা দূর্গাসুন্দরী দেবী। বঙ্কিমের পূর্বে তার আরও দুই ছেলের জন্ম হয় –শ্যামাচরণ ও সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

বঙ্কিম ১৮৪৯ খ্রিষ্টাব্দে হুগলি কলেজে (অধুনা হুগলী মহসিন কলেজ) ভর্তি হন। এখানে তিনি সাত বছর পড়াশোনা করেন। হুগলি কলেজ পড়াকালীন ১৮৫৩ খ্রিষ্টাব্দে জুনিয়র স্কলারশিপ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে মাসিক আট টাকা বৃত্তি লাভ করেন। এই বছরেই সংবাদ প্রভাকরে কবিতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে কুড়ি টাকা পুরস্কার লাভ করেন।

হুগলি কলেজ অধ্যয়নকালেই বঙ্কিমচন্দ্র কবিবর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সংবাদ প্রভাকর ও সংবাদ সাধুরঞ্জনে গদ্য-পদ্য রচনা আরম্ভ করেন। পরবর্তীকালে তার বহু রচনা এই দুই কাগজে প্রকাশিত হয়। ১৮৫৬ খ্রিষ্টাব্দে হুগলি কলেজে সিনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় সব বিষয়ে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করে তিনি দুই বছরের জন্য কুড়ি টাকা বৃত্তি লাভ করেন।

এই বছরই তিনি হুগলি কলেজ ছেড়ে আইন পড়বার জন্য কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে জানুয়ারি মাসে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়। এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এন্ট্রান্স বা প্রবেশিকা পরীক্ষা প্রবর্তন করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের আইন বিভাগ থেকে এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। পরের বছর ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মতো বিএ পরীক্ষা নেয়া হয়। মোট দশজন ছাত্র প্রথমবারে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কেবলমাত্র বঙ্কিমচন্দ্র ও যদুনাথ বসু।

তার বাবার মতো তিনিও সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে। সারা জীবন তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যান। স্বীকৃতি স্বরূপ ব্রিটিশ সরকার তাকে দুটি খেতাবে ভূষিত করে- ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দে রায় বাহাদুর খেতাব এবং ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে কম্প্যানিয়ন অব দ্য মোস্ট এমিনেন্ট অর্ডার অব দ্য ইন্ডিয়ান এম্পায়ার খেতাব। ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে তিনি পরলোকগমন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

এ জাতীয় আরও সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত 𝐛𝐚𝐧𝐠𝐥𝐚𝐝𝐚𝐤.𝐜𝐨𝐦-২০২৫, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ।
Theme Customized BY LatestNews